জিতলেই প্লে অফ’ নিশ্চিত; এমন এক ম্যাচে তামিম ইকবালের ফিফটি সত্ত্বেও মামুলি সংগ্রহ পেল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। জবাবে সাকিব আল হাসানের আগ্রাসী ফিফটিতে জয় তুলে নিল ফরচুন বরিশাল।
আর এই হারে মাহমুদউল্লাহর দল নেমে গেল ‘খানের কিনারে’। এখন তাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে অন্যদের পা হড়কানোর।
অষ্টম বিপিএলের ২৮তম ম্যাচে শুক্রবার ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল। মিরপুর শের-ই-বাংলায় শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা।
জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ২৭ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় সাকিববাহিনী।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল।
‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইল মাত্র ৭ রান করেই বিদায় নেন। এরপর আরেক ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। মুনিম ২৫ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রান করে বিদায় নিলেও শান্তর সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন সাকিব।
এই নিয়ে ১০ ম্যাচে ৭ জয় ও ১ ড্রয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ফের শীর্ষে উঠে এলো বরিশাল। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইলো ঢাকা। তবে আগামীকাল শনিবারের দুই ম্যাচের ওপর তাদের প্লে অফে খেলা নির্ভর করছে। কারণ চারে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও পাঁচে থাকা খুলনা টাইগার্সের সংগ্রহ সমান ৮ পয়েন্ট করে। দুই দলেরই কাল ম্যাচ আছে।
বরিশালের অধিনায়ক সাকিব ক্রিজে এসেই আগ্রাসী ব্যাটিং বেছে নেন। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের এক ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়ে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ২২ রান তোলেন তিনি। পরে মাত্র ২৯ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। শান্ত অপরাজিত থাকেন ২৮ বলে ঠিক ২৮ রানেই।
চলতি আসরে নিজের তৃতীয় ফিফটি হাঁকানোর পর সাকিব এখন চলতি বিপিএলের চতুর্থ সর্বোচ্চ রান (২৭৬) সংগ্রাহক। তার আগে আছেন শুধু তামিম ইকবাল (৪০৭), কলিন ইনগ্রাম (৩০৯) এবং উইল জ্যাকস (৩০৬)।
বল হাতে ঢাকার শফিউল ও কাইস আহমেদ ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ঢাকার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৭ রানে ওপেনার নাঈম শেখের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ঢাকা। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রাখেন তামিম।
দলীয় ২৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো ঢাকা ৬৮ রান তুলতেই হারায় আরও ২ উইকেট। এরপর দলকে ১০০ রানের কোটা পার করানোর পথে তামিম তুলে নেন চলতি আসরে নিজের চতুর্থ ফিফটি। তবে ৫০ বলের মোকাবিলায় ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৬ রান করে থামেন তিনি। তবে এর আগে চলতি আসরে তার রানসংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে যায়।
চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম বিদায় নেওয়ার পর খুব বেশিদূর যেতে পারেনি ঢাকা। তামিম ছাড়া বলার মতো রান পেয়েছেন কেবল শুভাগত হোম। আসলে এই দুজন ছাড়া ঢাকার আর কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের দেখাও পাননি। শুভাগত ২৭ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে বরিশালের ডোয়াইন ব্র্যাভো, শফিউল ইসলাম ও মেহেদী হাসান রানা ২টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। এছাড়া মুজিব-উর-রহমান, সাকিব আল হাসান ১টি করে উইকেট ঝুরিতে পুরেছেন।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বল হাতে ২১ রানে ১ উইকেট ও ব্যাট হাতে ফিফটি হাঁকানো সাকিব। এই নিয়ে চলতি আসরে টানা পঞ্চমবারের মতো ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠল তার হাতে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২