আরশীনগর প্রতিবেদক,
মেহেরপুর পাসপোর্ট অফিসে ফিঙ্গার দিতে এসে দিনের পর দিন ঘুরে যাচ্ছে অনেকেই। কিন্তু এক হাজর পাঁচশত থেকে দুই হাজার টাকা দিলেই পাঁচ থেকে দশ মিনিটের মধ্যেই নেয়া হচ্ছে ফিঙ্গার প্রিন্ট।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেহেরপুর জেলা পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক জাকির হোসেন সিকিউরিটি গার্ডের মতো প্রবেশপথে পাহারা দিয়ে দালাল মুক্ত করার চেষ্টা করছেন। আর অফিসের ভেতরে আনসার সদস্য ও কম্পিউটার অপারেটররা সুযোগ বুঝেই গুনে নিচ্ছেন টাকা।গাংনী উপজেলার চর গোয়াল গ্রামের শ্যামল হোসেন জানান, যেকোনো কাজের টাকা না দিলে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। হারানো পাসপোর্ট এর তথ্য নিতে হয় পাঁচশত থেকে এক হাজার টাকা, একদিনে পাসপোর্টে ফিঙ্গার প্রিন্ট করিয়ে নিতে দিতে হয় এক হাজার পাঁচশত থেকে দুই হাজার টাকা।সদর উপজেলার শোলমারি গ্রামের আদম আলী জানান, পাসপোর্ট বাবার নাম সংশোধন করতে এসেছি।আজ তিনমাস পাসপোর্ট অফিসারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। জানিনা কবে পাসপোর্ট হাতে পাবো।মুজিবনগর উপজেলার বাগওয়ান গ্রামের ইসলাম জানান, আমি উচ্চ শিক্ষা নিতে দেশের বাইরে যাব কিন্তু পাসপোর্ট অফিসে আসলে তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট না নিয়ে সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন সময় বাড়ানো হলো এমন কথা বলতে আনসার সদস্য ও কম্পিউটার অপারেটররা অশ্লীল ভাষায় কথাবার্তা বলতে শুরু করেন।নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে পাসপোর্ট অফিসের কম্পিউটার অপারেটররা জানান, এই টাকার ভাগ আমরা একা খাই না। আর এই টাকা উপ-পরিচালক স্যারের নির্দেশনা মতামত কি নিয়ে থাকি। অনেক অসহায় মানুষ এসে টাকার অভাবে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে,আমরাও মানুষ কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। আমরা স্যারের কাছে জিম্মি। তিনি আরো জানান, আশেপাশের কম্পিউটার দোকানগুলোতে রয়েছে একাধিক সেবা প্রত্যাশীদের পাসপোর্ট এর ফটোকপি ও পাসপোর্ট। যেগুলোর প্রত্যেকটি থেকে বিভিন্ন হারে টাকা নিয়ে থাকেন উপ-পরিচালক স্যার।মেহেরপুর জেলা পাসপোর্ট এর উপ-পরিচালক জাকির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,পাসপোর্ট অফিসে এখন আর কোন ঘুষ বাণিজ্য হয় না,বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।