ঢাকাশুক্রবার , ১৭ মার্চ ২০২৩
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. উদ্যোক্তা
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. জাতীয়
  12. দূর্ঘটনা
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মেহেরপুরের সড়কে কাদা: আর কত ভোগান্তি হলে প্রশাসনের টনক নড়বে।

arshinagar
মার্চ ১৭, ২০২৩ ১১:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আরশীনগর প্রতিবেদক,
মেহেরপুরের শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে প্রায় প্রতিটা সড়কই ইটভাটা মালিকদের গাড়িতে মাটি বহনের জন্য কর্দমাক্ত হওয়ায় তা চলাচলের জন্য একেবারেই অযোগ্য হয়ে গেছে। সাধারণ জনগণকে আর কতটা ভোগান্তি পোহাতে হলে প্রশাসনের টনক নড়বে এমন প্রশ্ন সাধারণ পথচারী, মোটরসাইকেল আরোহীসহ ছোটখাটো যানবাহন চালনাকারী সকলের। যেখানে সেখানে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলো ঘরবাড়ি তৈরিতে ইটের চাহিদা মিটিয়ে থাকলেও পোড়ানো হয়ে থাকে গাছপালা উজাড় করে কাঠ। দুষিত হয়ে থাকে বায়ু। দুষিত বায়ু আর রাস্তায় যত্রতত্র ভাবে চলাচলকারী ইটভাটায় মাটি বহনকারী গাড়িগুলোর ধুলোবালিতে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে ধুঁকছেন ইটভাটা এলাকার আবাল বৃদ্ধসহ অনেকেই। কে দেখে তাদের কষ্ট। এটাই শেষ নয় গত বৃহস্পতিবার বিকেলের বৃষ্টিতে মহাবিপদে পড়েছেন জেলার হাজার হাজার মোটরসাইকেল আরোহীসহ সাধারণ পথচারী।
সরেজমিনে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বামুন্দী ও পোড়াপাড়া, আমঝুপি-গাঁড়াডোব সড়ক, পশ্চিম মালশাদহ-হিন্দা সড়ক, গাংনী-ধানখোলা-আড়পাড়া সড়ক ও রাজাপুর-বারাকপুর সড়কের পাঁচ রাস্তার মোড়ে গিয়ে বেহাল দশার দেখা মিলেছে। উক্ত সড়কগুলোতে চলাচলকারী মোটরসাইকেল আরোহী ও সাধারণ পথচারীদের কান্না জড়িত কন্ঠে হাহাকার আর আর্তনাদের কথা বলে শেষ হবেনা। কিন্তু কেন? প্রতিটা সড়কেই কি ইটভাটা মালিকদের দৌরাত্ম ও খবরদারী চলবে? তাদের ইটভাটাতে মাটি বহন করে জনগণের চলাচলকারী রাস্তাগুলোকে কর্দমাক্ত করে এতটাই যদি মজা দেখতে ভালো লাগে তবে ইটভাটা মালিকরা নিজস্ব রাস্তা তৈরি করে নিক অথবা তাদের জন্য বিকল্প সড়ক তৈরি করে দেওয়া হোক বা ইটভাটাগুলো নির্দিষ্ট একটা এলাকায় তৈরি করা হোক যাতে করে সাধারণ জনগণকে আর ভোগান্তি পোহাতে না হয়। ধুলোবালি কিংবা কাদাতে পিছলে পড়ে আহত না হতে হয়। শ্বাস কষ্টে ধুঁকে ধুঁকে পড়ে না থাকতে হয় এমনটাই দাবী উঠেছে।
বৃহস্পতিবারের বৃষ্টির কারণে রাস্তাগুলোই কাদায় ভরপুর হয়ে যাওয়ার পর সন্ধা ও রাতে চলাচলকারী মোটরসাইকেল আরোহীদের ভোগান্তির আর্তনাদ জেনে ও প্রশাসনের জরিমানার ভয়ে সকালেই কাদার উপর বালি, কোন কোন ইটভাটার সামনের সড়কে ইটের গুড়া ছিটিয়েই দায়িত্ব শেষ করেন ভাটা মালিকরা। কোন কোন সড়কে এটারও প্রয়োজন মনে করেনি ভাটা মালিকরা।
শুক্রবার বিকেলে আবারও বৃষ্টি শুরু হয়। এতে করে সড়কগুলো আবারও কাদার রাস্তায় পরিণত হয়েছে। এই রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহনসহ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। হালকা বৃষ্টিতে পাকা রাস্তার উপর কাদার সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। রাস্তা দিয়ে ভ্যান-সাইকেল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। ইটভাটার অবৈধ ট্রাক্টর-ডাম্পার, ট্রলি পাকা রাস্তা দিয়ে নিয়মিত মাটি উঠানোর জন্যই কাদার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
এ নিয়ে জনগণের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিলেও প্রশাসনের নিরবতায় জনগণের মাঝে উল্লেখিত প্রশ্নসহ নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রৌদ্র হলে ধুলোবালি অন্যদিকে বৃষ্টি হলেই কাদা। কয়েক বছর ধরে কতিপয় মাটি ব্যবসায়ীরা পাকা রাস্তাগুলো মাটি ফেলে কাচায় পরিণত করে রাখলেও তাদের কেশ স্পর্শ করার মতো কেউ নেই বা তাদের প্রতি অনেকাংশেই আইনের প্রয়োগ হয় না।
প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের সাধ্য পূরণের জন্য হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়ে খেলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, ইটভাটার ট্রাক্টরে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বহন করা মাটি সড়কে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে ধুলোবালিতে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছিল। এখন বৃষ্টি হওয়াতে পাকা রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। চলাচলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে বেড়েছে দুর্ভোগ।
মোটরসাইকেল আরোহী আলম বলেন, ইটভাটার কাজে ব্যবহৃত মাটিবাহী যানবাহন থেকে রাস্তায় পড়ে যাওয়া মাটি রোদের সময় রাস্তায় শুকানোতে ধুলোবালি আর বৃষ্টিতে কাদাময় হয়ে থাকে। দেখে বোঝার উপায় থাকে না এটা পাকা নাকি কাচা রাস্তা। এতে বছর জুড়েই সড়কগুলোতে চলাচল করতে পোহাতে হয় দুর্ভোগ।
মোটরসাইকেল আরোহী সুজন বলেন, বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদা হয়ে যায়। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহতের ঘটনাও কম নয়। মাঝে মধ্যে নামমাত্র দু’একটা ইটভাটাতে অভিযান পরিচালনা করা হলেও নতুন করে কাদার সৃষ্টি হলে প্রশাসন কেন নিরব।
ইটভাটা মালিকরা প্রশাসনকে নাকি ম্যানেজ করে রাখে এমন মন্তব্যও করেন অনেক পথচারী। চিকিৎসার জন্য মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীদের জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য ক্লিনিকে নিতেও অনেকটা সময়ক্ষেপন ও বেগ পেতে হচ্ছে এম্বুলেন্স ও রোগীর স্বজনদের। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যদি এখনই কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা না যায়, তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুম তো রয়েছেই। এজন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। উক্ত বিষয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।