আরশীনগর প্রতিবেদক,
বরিশালে দাফনের তিন সপ্তাহ পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী খান জসিমের ছেলে মুসাব্বির খান জারিফের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে’
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু আব্দুল্লাহ খানের উপস্থিতিতে নগরীর মুসলিম গোরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।’
পরে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
জারিফের বাবা মোহাম্মদ আলী খান জসিম জানান, ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে মাদারীপুরে যায় জারিফ। সেখানে পৌঁছানোর পর তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ হয়। ২৮ জানুয়ারি রাত ১২টার দিকে জারিফের মোবাইলে ফোন করা হলে সে রিসিভ করেনি। পরদিন ২৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে আবারও মোবাইলে কল দেওয়া হলে সে রিসিভ করেনি। পরে তার বন্ধু ভিকির মোবাইলে কল দিলে সেও রিসিভ করেনি। বিকেল ৩টার দিকে ভিকি মোবাইল রিসিভ করে জানায় জারিফ মাদারীপুর লেকে গোসল করতে গিয়েছিল বিধায় ফোন ধরতে পারেনি। এটা বলে ভিকি ফোন কেটে দেয়।’
২৯ জানুয়ারি আসরের পর জারিফের তিন বন্ধু দ্বীপ, ইব্রাহিম ও রাজন বাসায় এসে জানায় জারিফের শ্বাসকষ্টের কোনো রোগ রয়েছে কিনা। তখন আমি এ ধরনের কোনো রোগ নেই বলে জানাই। এসময় তারা একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে কথা বলতে বলে। সেখানে কল দেওয়া মাত্র জানতে পারি জারিফ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
পরে স্বাভাবিকভাবে জারিফের দাফন সম্পন্ন করি। কিন্তু সময় অতিবাহিত হলে বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও জারিফের মোবাইল খতিয়ে দেখে বিভিন্ন ছবিসহ ডাটা খুঁজে না পাওয়া সন্দেহ তৈরি হয়। আমি চাই ছেলের মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটন হোক।’