ঢাকাবুধবার , ১ মার্চ ২০২৩
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. উদ্যোক্তা
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. জাতীয়
  12. দূর্ঘটনা
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বঙ্গবন্ধুর নামে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প যেন কৃষকের আলাদিনের চেরাগ : পি,ডি মাহাবুব আলম।

arshinagar
মার্চ ১, ২০২৩ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আরশীনগর প্রতিবেদক,

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নামে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প যেন আলাদিনের যাদুর চেরাগ,এমনটায় মনে করেন এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ মাহাবুব আলম।
কৃষি কাজের অন্যতম অপরিহার্য উপদান হচ্ছে পানি,পানি ছাড়া কোন কিছুই উৎপাদন করা যায় না,সুতরাং কৃষি প্রধান এই দেশের কৃষকের জন্য মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প এক আশীর্বাদের নাম।
তাই এই প্রকল্পের পরিচালক মাহবুব আলম বলেন, সেই যুগে আলাদিনের যাদুর চেরাগ যেমন তার মালিকের চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করেছিল ঠিক এই যুগে এসে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প তেমনি কৃষকদের সকল চাওয়া পাওয়া পূর্ণ করে চলছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কৃষির উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। যেকারণে আজ সমস্ত বাধা বিঘ্নতা পেরিয়ে দেশ পৌঁছে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন ও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছেন আর আমরা মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন করছি।
২০২০-২১ অর্থ বছরে খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেপুর জেলার ১৩টি উপজেলার সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে ২৩১ কোটি টাকা খরচে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প নামের একটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়।
‘মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন’ নামের প্রকল্পটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
২২০ কিলোমিটার খাল পুনঃখনন করা। ১৩০টি বিদ্যুৎ/সৌরশক্তি চালিত লো-লিফট পাম্প (এলএলপি) স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সেচ অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে ভূ-উপরিস্থ পানির সাহায্যে সেচ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ৬৫ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন ও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ত্বরান্বিতকরণ। সেচ কাজে নবায়নযোগ্য সৌরশক্তির ব্যবহার করা। আধুনিক সেচ প্রযুক্তি প্রয়োগ ও কৃষক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেচ দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ভূ-উপরিস্থ পানি নির্ভর সেচ কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি করা। প্রকল্প এলাকায় আত্ম-কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচন করা মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
প্রকল্পের প্রধান কাজগুলো হলো- ৫১টি খাল ২২০ কিলোমিটার পুনঃখনন করা। বিদ্যুৎ/সৌরশক্তি চালিত লো-লিফ্ট পাম্প (এলএলপি) স্থাপন করা ১৩০টি (৫ কিউসেক ২৫টি, ২ কিউসেক ৫০টি, ১ কিউসেক-৩০টি, ০.৫ কিউসেক ২৫টি)। পুরাতন গভীর নলকূপ মেরামত/সংস্কার-৪৮টি। এলএলপি/গভীর নলকূপের ভূ-গর্ভস্থ সেচ নালা নির্মাণ ১৭৮টি (১ হাজার ৫০০ মিটারের ৭৩টি, ১ হাজার ২০০ মিটারের ৫০টি, ১ হাজার মিটারের ৩০টি, ৮০০ মিটারের ২৫টি)। ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণ ২২৫টি (প্রতিটি ৬০০ মিটার)। সৌরশক্তি চালিত পাতকূয়া নির্মাণ করা ১৩০টি। ছোট/মাঝারি/বড় আকারের সেচ অবকাঠামো নির্মাণ ৪৩৫টি (ক্রস ড্যাম/ফুট ব্রিজ, ক্যাটল ক্রসিং) (বড় আকারের-১৫ টি, মাঝারি আকারের ১২০টি, ছোট আকারের ৩০০টি)। প্রি-পেইড মিটার ক্রয় ৫০টি, পাম্প টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন একটি এবং অফিস ভবন নির্মাণ দুইটি (প্রতিটি ৪ হাজার বর্গফুট)।
প্রকল্পটি সম্পর্কে তিন জেলার স্থানীয় কৃষকরা জানান,কুষ্টিয়ায় একটা সময় গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প ছিল। পাকিস্তানের সময় করা হয়েছিল এপ্রকল্প। এখনও অনেক জমি ওই প্রকল্পের বাইরে আছে। সেখানে আরও ভালো কিছু করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল। এজন্য বর্তমান সরকার আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরুপ নতুন এই প্রকল্প দিয়েছে। তবে এই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিসহ আরো সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবী জানান অত্র অঞ্চলের কৃষকেরা।
প্রকল্পের উপকার ভোগী কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের চরাঞ্চলে নদীতীরবর্তী মাঠের মধ্যে কোন বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায়,আমরা ডিজেল চালিত পাম্পে পানি উঠিয়ে জমিতে সেচ দিতাম,এতে আমাদের খরচ বেশি হতো কিন্তু বর্তমান সরকার আমাদের এখানে সৌর সেচ চালিত একটি প্রকল্প দিয়েছে,নদী থেকে পানি উঠছে। কোন খরচ নায়,ক্ষেতে পানি দিচ্ছি ইচ্ছেমতো,ফলনও ভালো পাচ্ছি,লাভও বেশি হচ্ছে।
এবিষয়ে পরিবেশ বিজ্ঞানী গৌতম কুমার রায় বলেন, আমরা গভীর নলকূপের যে চাষাবাদ করছি, তা কোন একসময় আমাদের পরিবেশের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠবে । ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। ফলে আমাদের উপরের মাটিও দেবে যেতে শুরু করেছে। যেকারণে এখন থেকেই মাটির উপরের নদী, নালা, পুকুর, বিল, জলাশয়–প্রাকৃতিক পানি বেশি ব্যবহার করতে হবে। আর ঠিক সেই কাজটাই বাস্তবায়িত হচ্ছে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে,এতে আমি আজ অনেক আনন্দিত।
মেহেরপুর-১ আসনের সাংসদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন জানান, ভূ-উপরিস্থ পানির সাহায্যে সেচ কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ ছাড়াও নবায়নযোগ্য সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি সম্পুর্ন বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকায় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনসহ প্রকল্প এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।