নাটোরে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান অভিযুক্ত তামিম আহমেদ কে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫।’
শনিবার মধ্যরাতে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ রোববার সকালে এক প্রেসবিফ্রিংয়ে এসব তথ্য জানান র্যাব-৫। গ্রেফতারকৃত তামিম আহমেদ নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর পাবনাপাড়া মহল্লার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।’
র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক ফরহাদ হোসেন জানান, রাজশাহীর তানোর থানার ঝিনাইখড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে অপহরণ করে নাটোরে নিয়ে আসে তামিম আহমেদ। পরে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে রাতে মেয়েটিকে একটি কলাবাগানের ভিতর নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর সকালে তামিম তার বন্ধুর কাছে মেয়েটিকে দিয়ে চলে যায়।’
পরে ওই ছেলেও মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং বেলা ১১টার দিকে মেয়েটিকে শহরের বনবেলঘরিয়া বাইপসে রাজশাহীগামী বাসে তুলে দেওয়ার জন্য ওই ছাত্রীকে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। এ সময় অস্বাভাবিক আচরণ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয় তারা। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায় ওই যুবক। পরে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে ঘটনাটি বিস্তারিত শুনে তার বাবাকে খবর দেয় এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ।’
ফরহাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় তামিম আহমেদ,আব্দুল মজিদ ও সিরাজুল ইসলামের নামসহ অজ্ঞাত আরও দুইজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন মেয়েটির বাবা। এরপর পুলিশ আব্দুল মজিদ ও সিরাজুলকে গ্রেফতার করতে পারলেও মুল অভিযুক্ত তামিম আহমেদ পালিয়ে যায়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতরাতে কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তামিম আহমেদকে গ্রেফতার করে। আজ রবিবার দুপুরে তামিম আহমেদকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।’