ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ মার্চ ২০২২
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. উদ্যোক্তা
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. জাতীয়
  12. দূর্ঘটনা
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুষ্টিয়ায় শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছে চাতাল শ্রমিকেরা

আরশীনগর রিপোর্ট
মার্চ ২৯, ২০২২ ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আরশীনগর প্রতিবেদক : দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর। এখানে গড়ে উঠেছে শতাধিক ধানের চাতাল। এই চাতালে নারী শ্রমিকরা কর্মরত। প্রায় ৪ যুগ ধরে ধানের চাতালের শ্রমিকেরা নানাভাবে শোষণ বঞ্চনার শিকার। যাদের ঘামে প্রতিদিন শত শত টন চাল তৈরী হচ্ছে, যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অন্ন তুলে দিচ্ছেন দেশের সবখানে। সেই চাতাল শ্রমিকরাই থাকেন অভুক্ত। তাদের নিরন্ন জীবন যাত্রা পীড়া দেয় মানবতাকে। চরমভাবে লংঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। নারী শ্রমিকরা নামমাত্র কিছু অর্থের বিনিময়ে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। অসুস্থ্ হলে তাদের চিকিৎসা না করা, ঈদসহ জাতীয় দিবস গুলোতে উন্নত খাবারের ব্যবস্থা না করা, মাতৃকালীন সময়ে ছুটি না পাওয়া, কর্মরত নারী শ্রমিকদের চাতালে আবাসনের ব্যবস্থা না থাকা সহ নানাবিধ সমস্যার মধ্যদিয়ে চলছে তাদের জীবন। রাতে আগুনের প্রচন্ড তাপের সাথে যুদ্ধ করে ধান সিদ্ধ আর দিনে সূর্য্যের প্রচন্ড তাপে চলে ধান শুকানো ও মাড়াই কার্যক্রম।
১৯৭৮ সালে কুষ্টিয়ার খাজানগরে ধানের চাতাল গড়ে উঠতে শুরু করে। যা আজ দেশের মোট চাহিদার একটি বৃহৎ অংশ পুরন করে থাকে কুষ্টিয়া। ধানের চাতাল গুলোর ভৌত অবকাঠামোগত চাকচিক্য বাড়লেও ভেতরটা মাকাল ফলের মতো। ৪৮ বছরের এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পাওয়ার প্রতিবাদে, উন্নত জীবনের আশায় সংগঠিত হচ্ছেন চাতাল শ্রমিকেরা। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার। চাতাল শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে গড়ে উঠেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চাতাল শ্রমিক ইউনিয়ন। কুষ্টিয়া শ্রম অধিদপ্তর থেকে দেওয়া হয়েছে নিবন্ধন, যার নং- খুলনা ২৩৪৩। তারা ১০ দফা ঘোষণা করেছেন ধান চাল কল মালিকদের কাছে। ১. বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ৫ ধারার বিধান মতে শ্রমিক কর্মচারীদেরকে নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। ২. দেশের মানুষের জীবন যাত্রা মান বৃদ্ধি এবং উচ্চ দ্রব্যমূল্যের কারণে যুগোপযোগি ও বাস্তবসম্মত ন্যায্য মজুরী প্রদান করতে হবে। ৩. বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ এর বিধান মতে মৃত্যু জনিত ক্ষতিপূরন এবং যখমের জন্য ক্ষতিপূরণ করতে হবে। ৪. বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ এর ৩৪ ধারার বিধান মতে এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শিশু শ্রম বন্ধ করতে হবে। ৫. বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ এর ৪৬ ধারার বিধান মতে মহিলা শ্রমিকদের ১৬ সপ্তাহগ প্রসূতী কল্যাণ ছুটি প্রদান করতে হবে। ৬. বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ এর ৫৯ ধারার বিধান মতে শৌচাগার ও প্রক্ষালন কক্ষ চালু করতে হবে। ৭. বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ এর ৬ অধ্যায়নমতে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ এর ৭ম অধ্যায় অনুযায়ী করোনা মহামরি কালে স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ৯. বাংলাদেশ শ্রমআইন ২০০৬ এর বিধান মতে কোম্পানীর মুনাফায় শ্রমিকদের অংশগ্রহন তহবিল এবং কল্যাণ তহবিল গঠন করতে হবে। ১০. কারখানার অগ্নি নিরাপদ ব্যবস্থা, বৈদ্যুতিক সংযোগ সহ ও বয়লারের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে।
এই ১০ দফা দাবিতে দীর্ঘ শোষণ বঞ্চনার শিকার কুষ্টিয়ার চাতাল মিল শ্রমিকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হচ্ছেন। আজ কুষ্টিয়ার শ্রম অধিদপ্তরে চাতাল শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যকার দাবি সমন্বয়ে এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মালিক শ্রমিকদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।