আরশীনগর প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া জেলা দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডি বাঁধের বাজার হিসনা নদীর খননকৃত মাটি বিক্রয় হচ্ছে ইটভাটা গুলোতে। লক্ষ লক্ষ টাকা সরকারের ঘরে না গিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় টাউট বাটপারদের হাতে। আর এই টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চলছে চরম উত্তেজনা। যে কোন মুহুর্তে খুঁন খারাবি হতে পারে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। অবনতি হতে পারে আইন শৃংখলার। প্রতিদিন ৩শত থেকে ৪শত অবৈধযান ট্রলি, বাটাহাম্পা এই মাটি বহন করছে। যার প্রতি ট্রলি মাটির শূল্য ৮৫০ টাকা। এই হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বিক্রিত মাটির টাকা যাচ্ছে বাটপারদের পকেটে। এই মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বাঁধের বাজার ও মাদাপুর এলাকায় দেখা দিয়েছে ১০ থেকে ১২ জন করে নতুন নতুন গ্র“প তৈরী হয়েছে বেশকয়েকটি। যারা দেশীয় অস্ত্রসহ আরও বিভিন্ন প্রকার অস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে স্থানীয়দের ভয়ভীতী প্রদর্শন করে সরকারের নদী খননের এই সকল মাটি বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রি করছে। এ বিষয়ে এই সকল গ্র“পদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, প্রশাসন ও উর্দ্ধতনদের ম্যানেজ করে এই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এই টাকা শুধু আমাদের পকেটেই যাচ্ছে না, প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক উর্দ্ধতন কর্তাদের পকেটেও চলে যাচ্ছে। তাই এখানে কোন ভ্রাম্যমান হয় না।
এমন ধরনের কার্যক্রমে নদীর পাশে বসবাস রত সাধারণ মানুষেরা আজ ব্যাপক উদ্বিগ্ন মাঝে জীবন কাটাচ্ছে সরকারি সাত কোটি টাকা অর্থায়নে নদী খননের যে প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে যে খননকৃত মাটি দিয়ে নদীর দুই পাড় বাধাই করার কথা এবং অতিরিক্ত মাটিগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে তা টেন্ডারের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব খাতে অর্থ জমা দিয়ে এই মাটি বিক্রয় করা হবে অথচ কিছু ক্যাডার বাহিনী তাদের নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজেরাই এই মাটি বিক্রি করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এই মাটি জোরপূর্বক দখল ও বিক্রয় কে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সন্ত্রাসী গ্রুপ এবং প্রতিদিন মাটি বিক্রয় করে অবৈধভাবে যে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন হচ্ছে সেই অবৈধ টাকা ব্যবহার হতে পারে আধুনিক মানের অস্ত্র সহ আরো নানা ধরনের সন্ত্রাসীদের ব্যবহার উপযোগী আধুনিক সরঞ্জাম। তাই প্রশাসনের এখনই উপযুক্ত সময় এই সকল মাটি দখল ও বিক্রয় বন্ধ করে অত্র এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা তা না হলে যেকোনো সময় এই মাটি বিক্রয় কে কেন্দ্র করে তৈরি হতে পারে খুনের মতো জঘন্য অপরাধ।
হিসনা নদীর খননকৃত মাটি দিয়ে আবাসিক এলাকা রক্ষার জন্য নদীর পাড় না বেঁধে তা হাতিয়ে নিচ্ছে নব্য আওয়ামীলীগার বিএনপির সন্ত্রাসীরা। সারা রাত, সারা দিন বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বহন করায় এতে এলাকার রাস্তাঘাট ভেংগে চৌচির হচ্ছে। প্রতিদিনই গ্রামীণ সড়কে হচ্ছে দূর্ঘটনা। পঙ্গু হচ্ছে নারী, পুরুষ ও শিশুরা। অবিলম্বে হিসনা নদীর মাটি খাদকদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী এলাকার সর্বস্তরের মানুষের।