এস, এম, ওয়ালিদুজ্জামান শুভ কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।
কুষ্টিয়ায় সাবেক ২ ছাত্রলীগ নেতা ও কুষ্টিয়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে । ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধ হাসিলের জন্য এমন বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে একটি মহল। কুষ্টিয়া পৌরসভায় টেন্ডার ছিনতাই এর মত জঘন্যতম ঘটনার সাথে তাদেরকে জড়িয়ে মিথ্যা ভিত্তিহীন বিভ্রান্ত মুলক তথ্য সরিয়ে বেড়াচ্ছে একটি কুচক্রী মহল এ বিষয়ে যৌথ বিবৃত তারা বলেন। গত বৃহস্পতিবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্ট সংস্করণে “কুষ্টিয়া পৌরসভায় পুলিশের সামনেই দরপত্র ছিনিয়ে নিল ক্ষমতাসীনরা” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের বিবৃতি ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুষ্টিয়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী, শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক হাসিব কোরাইশী ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস খন্দকার। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানায় প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। এ ঘটনায় তারা দাবি করেন এই ঘটনার সাথে তারা কোন ভাবেই জড়িত নয়। একটি পক্ষ তাদের নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকান্ড ঘটিয়ে আমাদেরকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে সাংবাদিকদের কাছে মনগড়া তথ্য পরিবেশন করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছে। কুষ্টিয়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী বিবৃতিতে বলেন, ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখে কুষ্টিয়া শহর এবং শহরতলীর ১০ টি হাট- বাজার পহেলা বৈশাখ হতে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত এক বছর মেয়াদি টোল আদায়ের লক্ষ্যে ইজারার দরপত্র আহবান করে কুষ্টিয়া পৌর কর্তৃপক্ষ। উক্ত তারিখ হতে ২২ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত দরপত্র বিক্রি করা হয় এবং বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর একটা পর্যন্ত সিডিউল জমা প্রদানের সময় নির্ধারণ করা হয়। আমি একজন প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার হিসেবে পৌরসভার হাট-বাজার সংক্রান্ত ইজারা দরপত্রে অংশ গ্রহণ করি। বিগত বছর আমি পৌর এলাকায় বিভিন্ন বাজার ও জায়গায় পশু জবাইয়ের ইজারা লাভ করেছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরও দরপত্র জমা দেয়ার উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার আমি পৌরসভা প্রাঙ্গণে উপস্থিত হই। এবার পশু জবাইর ইজারার দরপত্র আমিসহ ৮ জন দাখিল করেন। সবার উপস্থিতিতে উন্মুক্ত টেন্ডার বক্সে খোলা হলে সকল নিয়ম মেনে এবার অন্য ঠিকাদার পশু জবাইয়ের ইজারা লাভ করেন। আমি এ বছর টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করে পশু জবাইয়ের ইজারা লাভ করি নাই। অথচ সংবাদে কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনমতামত পত্রিকার সম্পাদক ও ঠিকাদার ইব্রাহিম হোসেন সংবাদের বক্তব্যে বলেছেন টেন্ডার বক্সে সিডিউল ফেলতে গেলে শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকীর নেতৃত্বে ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আফিল উদ্দিন, শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক হাসিব কোরাইশী,কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস খন্দকারসহ ২০-২৫জন ক্যাডার পুলিশের সামনেই তাঁর হাত থেকে জোর পূর্বক সব কয়টি সিডিউল ছিনিয়ে নেয় এবং পে অর্ডারসহ সমস্ত সিডিউল ছিড়ে ফেলে। এখানে আমার বক্তব্যে হলো পশু জবাহর ইজারা দরপত্র জমা দেয়া ব্যাতীত আর অন্য কোন কর্মকান্ডে আমি বা আমার সংগঠন শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোন নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। তাই আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও মনগড়া। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শহর ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক হাসিব কোরাইশী দাবি করেন, তিনি দরপত্র জমা প্রদানের – সময় কাউকে বাধা প্রদান করেননি। আমি আমার একটি দরপত্র জমা প্রদানের জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া উক্ত ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। তাই আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আশা রাখছি সাংবাদিক ভাইরা ভবিষ্যতে এ ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকবেন। কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস খন্দকার তার বিবৃতিতে জানান, কুষ্টিয়া পৌরসভার ইতিহাসে প্রকাশ্যে দরপত্র জমা প্রদানে বাধা প্রদান এবং ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সংবাদে আমার নাম জড়িয়ে মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি বলেন, পৌর ভবনস্থ মেয়রের কার্যালয়ের যেখানে টেন্ডার বক্স রাখা হয়েছে এবং ঘটনার মুহুর্তে আমি তার আশে পাশেও ছিলাম না। অথচ আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য একটি মহল আমাকেও ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।