ঢাকাশনিবার , ৪ মার্চ ২০২৩
  1. #টপ৯
  2. #লিড
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. উদ্যোক্তা
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. খেলাধুলা
  10. গণমাধ্যম
  11. জাতীয়
  12. দূর্ঘটনা
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কুষ্টিয়ায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

arshinagar
মার্চ ৪, ২০২৩ ১২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আরশীনগর প্রতিবেদক,
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় আলোচনা সভা ও জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি কুষ্টিয়া জেলা শাখা শুক্রবার (৩ মার্চ) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির  মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও জেলা সম্মেলনের আয়োজন করে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখা’র সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং ‘৭২ – এর সংবিধানের অন্যতম রচয়িতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দক্ষিণ এশীয়া গণসম্মিলনের সভাপতি  বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
প্রধান বক্তা ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল কমিটির কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির।
অনুষ্ঠানের আলোচক ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা আর ঘাতক দালালদের অপ-তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ গণআদালতে যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের বিচারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। ১৯৯৩ এবং ১৯৯৪ সালে ২ খণ্ডে ১৬ জন যুদ্ধাপরাধীর দুষ্কর্মের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এরপরও নির্মূল কমিটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনার অনুসন্ধান এবং ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দী নথিকরণের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ গঠনের পর ‘৭১-এর গণহত্যাকারীদের দুষ্কর্মের তদন্ত প্রতিবেদন এবং ভুক্তভোগীদের জবানবন্দি প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থাকে নির্মূল কমিটি প্রদান করে।মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার বিঘ্নিত ও বানচালের উদ্দেশ্যে দেশে-বিদেশে জামায়াত ও সমমনা বিভিন্ন দলের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা। আরও চ্যালেঞ্জিং ছিল সর্বোচ্চ আদালতে শীর্ষস্থানীয় গণহত্যাকারীদের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা এবং ট্রাইব্যুনালের রায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলার কর্মসূচিতে নির্মূল কমিটির সঙ্গে শরিক হয়ে দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে আদালত অবমাননার জন্য শাস্তিও পেতে হয়েছে, কিন্তু নির্মূল কমিটি তাদের অবস্থানে অনড় থেকে নিজামী, সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী, মুজাহিদ ও মীর কাশেমের মতো শীর্ষস্থানীয় মানবতাবিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে পেরেছে।  হেফাজত-জামায়াত-বিএনপির মহাতাণ্ডব ও আগুনসন্ত্রাসও তেমনি বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, ২০১৩ সালে ঢাকার বাইরে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত জেলা উপজেলা পর্যায়ে অধিকাংশ গণজাগরণ মঞ্চ স্থানীয় নির্মূল কমিটির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় গঠিত হয়েছিল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখা’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান সুমন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কুষ্টিয়া জেলা শাখার  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী কামরুজ্জামান সনি,  রুহুল কুদ্দুস ডেবিডসহ কমিটি অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।