আবারও জমবে মেলা সাঁইজির আখড়া বাড়িতে
আরশীনগর প্রতিবেদক।। কুষ্টিয়ায় বাউল সাধক ফকির লালন শাহের মাজারে ১৫, ১৬ ও ১৭ মার্চ-২২ মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ‘দোল পূর্ণিমা’ স্মরণোৎসব।
এদিকে স্মরণোৎসব কেন্দ্র করে লালনের আখড়াবাড়ি চত্বর এখন উৎসব মুখর। দেশী-বিদেশী অনেক লালনভক্ত, বাউল অনুসারী ও সুধীজনসহ অসংখ্য মানুষের আগমন ঘটেছে ইতোমধ্যে। তাদের পদচারনায় মুখর এখন বাউল আখরাটি।
লালন কুষ্টিয়া শহরের কালীগঙ্গা নদীর তীরে ছেঁউড়িয়া গ্রামে এসে বাংলা ১৮২৩ সাল মতান্তরে ১৮৩০ সাল নাগাদ আঁখড়া স্থাপন করেন। অল্প দিনের মধ্যেই লালনের প্রভাব ও পরিচিতি চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর (বাংলা ১২৯৭ সালের ১ কার্তিক) শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫ টায় ১১৬ বছর বয়সে লালন শাহ দেহত্যাগ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি শিষ্য-ভক্ত পরিবেষ্টিত থেকে গানবাজনা করেন।তারই ইচ্ছে অনুসারে আখড়ার একটি ঘরের ভেতর তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
মৃত্যুর ১২ দিন পর হিতকরী পত্রিকায় প্রকাশিত একটি রচনায় সর্বপ্রথম তাঁকে ‘মহাত্মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। লালন আজ নেই। কিন্তু রয়ে গেছে তাঁর অমর সৃষ্টি। যার মধ্য দিয়ে তিনি বেঁচে আছেন এবং বেঁচে থাকবেন বাঙালির মরমী মানসপটে।